ভ্যাট-ট্যাক্সে দিশেহারা বাংলাদেশের মানুষ,প্রতিবাদে আ'লীগের হরতাল ১৮ জানুয়ারি
ভ্যাট-ট্যাক্সে দিশেহারা বাংলাদেশের মানুষ,প্রতিবাদে আ'লীগের হরতাল ১৮ জানুয়ারি ,অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান ? বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি শতাধিক পণ্যের উপর ভ্যাট-ট্যাক্স বৃদ্ধি করায় দেশের সাধারণ মানুষ চরম সংকটে পড়েছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তের দৈনন্দিন ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে, যা জীবনযাত্রাকে দূর্বিষহ করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাট-ট্যাক্স বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবিতে ১৮ জানুয়ারি সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
হরতালের দাবিগুলো:
১. বর্ধিত ভ্যাট-ট্যাক্স সম্পূর্ণ প্রত্যাহার।
২. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো।
৩. রাজনৈতিক সহিংসতা ও দমন-পীড়ন বন্ধ।
৪. রাজনৈতিক মামলার প্রত্যাহার।
৫. রাজবন্দীদের মুক্তি।
৬. অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ।
৭. অবৈধ ও ব্যর্থ ইউনূস সরকারের পদত্যাগ।
উল্লেখ্য ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তীব্র ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয় এই আওয়ামীলীগ। তারপর থেকেই দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি,আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি,ধর্মীয় সংখ্যালুগো নির্যাতন,গণ-পিটুনি,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আওয়ামিলীগের নেতা-কর্মীদের ঢালাওভাবে জেলা-জুলমসহ অনেক অনিয়ম। এর মধ্যে হঠাৎ করে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে অতিরিক্ত ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করায় মানুষের মধ্যে দ্বিগুন ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
এখন দেখার বিষয় ১৮তারিখের দহরতাল সাধারণ মানুষ কতটুকু সমর্থন করে.? পাশাপাশি অনন্য রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান কি.?
অর্থনীতিবিদদের মতে, ভ্যাট-ট্যাক্স বৃদ্ধি দেশে আরও মুদ্রাস্ফীতি ঘটাবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বিনিয়োগ পরিস্থিতি জটিল হবে।
সাধারণ মানুষ ইতোমধ্যে এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষের আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। কাজের পরিশ্রমের পরও অনেকেই পরিবারের চাহিদা মেটাতে পারছেন না। ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, নতুন এই ভ্যাট-ট্যাক্সের কারণে তাদের পরিচালন ব্যয় বেড়ে যাবে, যা সরাসরি পণ্যের মূল্যে প্রতিফলিত হবে।
Opening Multiple Link Tabs...
আওয়ামী লীগের হরতাল ডাকের পর দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো কী ভূমিকা পালন করবে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো এর আগে ভ্যাট-ট্যাক্স ও দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির একাধিকবার প্রতিবাদ জানালেও সরাসরি এই কর্মসূচির বিষয়ে কোন মতামত পাইনি১৮ জানুয়ারির হরতাল কতটা সফল হবে, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের সমর্থন পেলে এই প্রতিবাদ সরকারকে চাপে ফেলতে পারে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক অস্থিরতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেটি দেখতে দেশবাসী তাকিয়ে আছে।
Post a Comment