কৃষি শুমারিতে অংশগ্রহণ করুন — জাতির উন্নয়নে সহায়তা করুন
জনগণের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আয়োজিত কৃষি শুমারি ২০২৫ শুরুর পথে। এই শুমারির মাধ্যমে দেশের কৃষি খাতের সঠিক চিত্র উঠে আসবে, যা ভবিষ্যতের পরিকল্পনা ও উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কৃষি শুমারী আবেদন ফরম
শুমারি কর্মীরা নির্ধারিত সময়ে আপনাদের কৃষি বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের জন্য বাড়ি বাড়ি যাবেন।
আপনাদের কাছে যে কোনো ধরণের তথ্য (ফসল, গবাদি পশু, মৎস্য, জমির পরিমাণ ইত্যাদি) জানতে চাওয়া হলে দয়া করে যথাযথভাবে সহযোগিতা করুন।
আপনার সঠিক তথ্যই আমাদের কৃষি উন্নয়নের ভিত্তি।
– পরিসংখ্যান ব্যুরো, বাংলাদেশ
কৃষি শুমারি: দেশের কৃষি উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
Links are opening...
বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ, যেখানে শতকরা প্রায় ৪০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই দেশের সার্বিক উন্নয়নে কৃষি খাতের যথাযথ পরিসংখ্যান ও পরিকল্পনা অত্যন্ত জরুরি। এই উদ্দেশ্যেই সরকার প্রতি দশ বছর অন্তর কৃষি শুমারি পরিচালনা করে থাকে। ।কৃষি শুমারি কী?
কৃষি শুমারি হলো একটি জাতীয় পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কৃষি খাতের বিভিন্ন দিক যেমন—ফসল উৎপাদন, গবাদিপশু পালন, মাছ চাষ, কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার, জমির ধরন ইত্যাদি সম্পর্কে বিশদ তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
এর প্রয়োজনীয়তা
কৃষি শুমারির মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে সহায়তা করে। কোন এলাকায় কী পরিমাণ জমি অনাবাদী রয়েছে, কোন ফসল বেশি উৎপন্ন হচ্ছে, কৃষকের গড় আয় কত—এসব তথ্য নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জনগণের ভূমিকা
কৃষি শুমারির সঠিকতা নির্ভর করে জনগণের অংশগ্রহণের ওপর। তথ্য গোপন না করে সঠিক তথ্য প্রদান করলেই শুমারির উদ্দেশ্য সফল হবে।
উপসংহার
একটি উন্নত, খাদ্য-নিরাপদ এবং কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। আর সঠিক পরিকল্পনার জন্য প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক তথ্য। কৃষি শুমারি সেই তথ্য সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম।
তাই আসুন, কৃষি শুমারিতে অংশগ্রহণ করি, দেশের উন্নয়নে অবদান রাখি।
Post a Comment